তবে বিশ্বের অঞ্চলভেদে বিভিন্ন সময় দেখা যাবে এই গ্রহণ। ইউরোপের বেশিরভাগ এলাকাতেই সোমবার স্থানীয় সময়ে ভোরে খালি চোখে দেখা যাবে এই সৌরজাগতিক দৃশ্য।
চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্য ও চাঁদের মাঝামাঝি চলে আসবে পৃথিবী। এবারের চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসায় সাধারণ সময়ের চেয়ে চাঁদকে অনেক বড় দেখা যাবে। একে সুপার ফ্লাওয়ার ব্লাড মুন বলা হয়।
উত্তর গোলার্ধে মে মাসের পূর্ণ চাঁদকে ফ্লাওয়ার মুনও বলা হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পশ্চিমাঞ্চলে স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় এই দৃশ্য খালি চোখে দেখা গেছে। এছাড়া বাইনোকুলার ও টেলিস্কোপ দিয়েও টকটকে লাল চাঁদের দেখা মিলেছে।
তবে বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না এই গ্রহণ। এশিয়া মহাদেশের কোনও দেশ থেকেই এই গ্রহণ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার সংজ্ঞা আনুযায়ী, বিভিন্ন তরঙ্গ দিয়ে আলোর এগিয়ে চলে। বিভিন্ন আলোর বিভিন্ন ভৌত উপাদান। লাল আলোর রয়েছে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ। বলা হচ্ছে, রেলিস স্ক্যাটারিং-এর কারণেই গ্রহণের চাঁদ এভাবে রক্তবর্ণ হয়।
সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় বহু বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয় আমাদের চোখে তা ধরা পড়ার আগে পর্যন্ত। চাঁদে পৌঁছানো একমাত্র সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে যায়, সেই কারণেই চন্দ্রগ্রহণের সময় দেখা যায় লাল চাঁদ বা ব্লাড মুন।
Leave a Reply