অনলাইন ডেস্ক,
সম্প্রতি রাজধানীর ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ঘোষণা কার্যকর থাকবে। একই সাথে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১৬ জন নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোনালি আক্তার, সুস্মিতা বাড়ৈ, জেবুন্নাহার , কল্পনা বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস, আফরোজা, মারজানা ঊর্মি, সানজিদা পারভীন, এস এম মিলি এবং সাদিয়া জাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম, সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার এবং কর্মী রাফিয়া নীলা, নোশিন শার্মিলী, জান্নাতুল লিমা ও সূচনা আক্তারকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ইডেন মহিলা কলেজের সভাপতি তান্নামা জেসমিন রীভা এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে ‘সিট বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির’ অভিযোগ এনে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। এরপর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জান্নাতকে ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠে।
বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একাংশ রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন রোববার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান, পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে দিনজুড়ে। পরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষে সভাপতি রীভা আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশিকে দায়িত্ব দিয়েছিল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে একটি পক্ষ এ তদন্ত দলেরও ব্যাপারে অনাস্থা জানায়।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা একটা তদন্ত কমিটি করেছিলাম, তাতে কেউ কেউ আস্থা রাখতে পারেনি। তাই আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেছি। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বহিষ্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিভাগ : রাজনীতি
বেতনা নিউজ ২৪ /অ/ডে/
Leave a Reply