আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২২, ১৬:১৩
ইরানের ক্ষমতাধর রেভ্যুলেশনারি গার্ডের একজন কর্নেলকে আততায়ীদের গুলি করে হত্যার এক বিরল ঘটনা ঘটেছে। কর্নেল সাইয়াদ খোদাই নামের ওই কর্নেলকে দুই বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে এসে পাঁচবার গুলি করে পালিয়ে যায়।
বন্দুকধারীদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক সেবাস্টিয়ান উশার বলেন, ২০২০ সালে একজন শীর্ষস্থানীয় পরমানু বিজ্ঞানীকে হত্যার পর ইরানে এই প্রথম বড় কোন নিরাপত্তাভঙ্গের ঘটনা ঘটলো।
ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা যাচ্ছে রক্তাক্ত এক ব্যক্তি গাড়ির সিটে বসা অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন। তার শরীরে তখনো গাড়ির সিটবেল্ট বাঁধা। কর্নেল খোদাই ছিলেন এলিট কুদস বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য। তারা রেভ্যুলেশনারি গার্ডের একটা অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যারা বিদেশে তাদের অভিযান পরিচালনা করে।
এ বাহিনী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন করে এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নানা হামলার পেছনে বাহিনীটি দায়ী- এমন অভিযোগ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সায়িদ খতিবজাদেহ বলেন, যেসব দেশ ‘দাবি করে তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তারা দুঃখজনকভাবে নীরব রয়েছে এবং সমর্থন করছে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে কর্নেল খোদাই হচ্ছেন কুদস ফোর্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, যাকে হত্যা করা হলো।
এর আগে ২০২০ সালে ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ইরাকে এক মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন। তিনি ইরানের মিলিটারি অপারেশনকে মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন একজন কুদস ফোর্সের প্রধান হিসেবে। তার মৃত্যু ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি করে।
তিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন যদিও ইরানের সরকার দাবি করে তাদের পরমাণু কর্মসূচী সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করার জন্য। ইরান অভিযোগ করে, ইসরায়েল একটা রিমোট কন্ট্রোল অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করেছিল।
Leave a Reply