
বেতনা নিউজ ২৪ ডেস্ক,
মহান আল্লাহ তায়ালার দেওয়া অদম্য ইচ্ছা শক্তি মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারে না। তেমনি এক শিশু এক পায়ে ভর করে ইচ্ছা শক্তির জোরে প্রতিদিনই ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার স্কুলছাত্রী সুমাইয়া। বয়স তার মাত্র ১০ বছর।
বাড়ি থেকে তার বিদ্যালয়ের দূরত্ব এক কিলোমিটার। এক পায়ে ভর করেই এই পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে এই শিক্ষার্থী। তবে বর্তমানে তার বাম পা দিয়ে চলাচল না করতে পারলেও চিকিৎসা করলে এটি ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সুমাইয়ার রিকশাচালক বাবার পক্ষে চিকিৎসার তিন লাখ টাকা জোগানো অসম্ভব।
সে চিরিরবন্দর উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের আলীপাড়ার রিকশাচালক পরিবারের শফিকুল ইসলামের সন্তান। উত্তর আলোকডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তার স্বপ্ন বড় হয়ে চিকিৎসক হবে। কিন্তু এক পায়ে ভর করে এই স্বপ্নের কতটুকু পথ অতিক্রম করতে পারে সেটিই প্রশ্ন।
বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, এই আট বছরে অনেক চিকিৎসা করেছি। কিন্তু ফল পাইনি। অর্থোপেডিক চিকিৎসকরা বলেছেন, অনেক টাকা হলে তোমার মেয়ের পা ভালো করা সম্ভব। কিন্তু আমার পক্ষে রিকশা চালিয়ে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব না।
মা সুমি আক্তার বলেন, মেয়ে যখন স্কুলে যায় তখন তার লাফিয়ে লাফিয়ে যাওয়ার এই দৃশ্য দেখে আমি মা হয়ে আর সহ্য করতে পারি না। দু-চোখে শুধু পানি আসে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, আমার মেয়ে যেন সুস্থ হয়ে যায়। স্বাভাবিক সবার মতো দুই পা দিয়ে হেঁটে চলতে পারে।
সুমাইয়ার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামনুর রশিদ বলেন, ১০ বছরের সুমাইয়া আমাদের আবেগপ্রবণ করে তুলেছে। চিকিৎসার অভাবে যেন তার ভবিষৎ অন্ধকারে চলে যাচ্ছে। সুমাইয়া পড়াশোনায় খুবই ভালো। আমরা তাকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। সুমাইয়া আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা। দেশের প্রতিটি শিশু সুশিক্ষা চায়। সেই সুশিক্ষা অর্জন করে সে অনেক বড় হোক আমরা তার জন্য এই কামনা করি।
সূত্র:আরটিভি
বেতনা নিউজ ২৪ /বে/ডে/
Leave a Reply