করোনায় বিপুল মানুষের চরম দরিদ্র হওয়ার আশঙ্কা

প্রতীকী ছবি
২৪ মে, ২০২২ ০৯:১৮

অনলাইন ডেস্ক

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দাপটে থমকে গিয়েছিল গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। ভাইরাস ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী লকডাউনের ধকল সামলাতে ভীষণ চিন্তায় পড়েছিল বিভিন্ন দেশ।

করোনা মহামারীকালে মূল্যস্ফীতির কারণে প্রতি ৩০ ঘণ্টায় একজন করে নতুন শতকোটিপতি বা বিলিয়নিয়ার তৈরি হয়েছে। এর ফলে আগামী বছর প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৩০ হাজার ৩০৩ জন চরম দরিদ্র হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন শুরুর প্রেক্ষাপটে অক্সফাম এ তথ্য জানাল। গত ২২ মে শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে ২৬ মে পর্যন্ত। 

বিশ্বের তথাকথিত এলিট শ্রেণি ১৯৯৫ সাল থেকে দাভোসে এ সম্মেলন করে আসছে। তবে করোনা মহামারীর কারণে দুই বছর এ সম্মেলন হয়নি।

মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বেড়ে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও এই বিশ্বে নতুন করে ৫৭৩ জন ব্যক্তি শতকোটিপতি বা বিলিয়নিয়ার হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ৩০ ঘণ্টায় শতকোটিপতি হয়েছে একজন।

এদিকে মহামারীর সুবাদে যারা শতকোটিপতি হয়েছে, তাদের ওপর ‘সংহতি কর’ আরোপের আহ্বান জানিয়েছে অক্সফাম। সংস্থাটি বলছে, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির শিকার লোকজনকে সহায়তার জন্য এ কর আরোপ করা উচিত। পাশাপাশি মহামারী থেকে টেকসই পুনরুদ্ধার তহবিলেও এ কর কাজে লাগানো যাবে।

অক্সফামের নির্বাহী পরিচালক গ্যাব্রিয়েলা বুচার এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, শতকোটিপতিরা তাদের ভাগ্যের অবিশ্বাস্য উন্নতি উদযাপন করতে দাভোসে আসছে। করোনা মহামারী ও বর্তমানে খাদ্য-জ্বালানির অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বের বিপুলসংখ্যক মানুষ অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির মুখে পড়েছে। টিকে থাকার জন্য তাদের লড়তে হচ্ছে।

অক্সফাম জানায়, কোটিপতিদের সম্পদের ওপর বার্ষিক ২ শতাংশ ও শতকোটিপতিদের সম্পদের ওপর বার্ষিক ৫ শতাংশ করারোপ করা হলে এক বছরে ২ দশমিক ৫২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সংগ্রহ করা যাবে। যা দিয়ে বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণ, পর্যাপ্ত টিকা তৈরি ও দরিদ্র দেশগুলোর মানুষের সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা সম্ভব। সূত্র: অক্সফাম, মার্কেট ওয়াচ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version