কাজাখস্তানে সংবিধান সংশোধন

সংবিধান সংশোধনে রোববার গণভোট অনুষ্ঠিত হয় ছবি: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক,

গত জানুয়ারির প্রাণঘাতী বিক্ষোভের সময় অভ্যুত্থানচেষ্টা ঠেকিয়ে দেওয়ার পর সংস্কার প্রস্তাব সামনে আনেন তোকায়েভ। দৃশ্যত, এতে নিজের সাবেক পৃষ্ঠপোষক ৮১ বছর বয়সী নাজারবায়েভ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।

জানুয়ারি সংকটের আগে মনে করা হতো, নাজারবায়েভ ও তাঁর অতিধনী স্বজনদের ছায়ায় শাসনকার্য পরিচালনা করছেন তোকায়েভ। প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও ‘জাতির নেতা’ হিসেবে সাংবিধানিক উপাধি গ্রহণ করেন নাজারবায়েভ।

 

নতুন সংবিধানে ‘জাতির নেতা’ পদমর্যাদাটি আর থাকছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষক গাজিজ আবিশেভ এএফপিকে বলেন, ‘যেহেতু নতুন সংবিধান এই পদমর্যাদার স্বীকৃতি দিচ্ছে না, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, “জাতির নেতার” যুগ শেষ হলো।’

প্রেসিডেন্টের আত্মীয়স্বজনের সরকারে থাকার পথ রুদ্ধ করে আরেকটি সংশোধনী হয়েছে। এটি নাজারবায়েভের পরিবার ও তাঁর শ্বশুরপক্ষের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের স্পষ্ট বার্তা, যাঁরা জানুয়ারির শুরু দিকে রাজপথে সহিংস বিক্ষোভের পর গুরুত্বপূর্ণ পদ হারিয়েছেন।

সহিংস বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে ‘নতুন কাজাখস্তানের’ প্রচেষ্টা সামনে আনেন নাজারবায়েভেরই বাছাই করা তোকায়েভ। তিনি ২০১৯ সালে নাজারবায়েভের স্থলাভিষিক্ত হন। গণভোটকে ‘সুপার প্রেসিডেনশিয়াল’ শাসন থেকে সরে আসার অংশ বলেও অভিহিত করেন তোকায়েভ।

পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ জানুয়ারিতে রক্তপাতে রূপ নেয়। এতে কমপক্ষে ২৩০ জন নিহত হন। পরিস্থিত সামাল দিতে রুশ নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা জোটের সেনা ডাকা হয়। সহিংসতার জন্য ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাওয়া ‘সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেন তোকায়েভ এবং দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন তিনি।

 

বেতনা নিউজ ২৪ অ/ডে

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version