শুক্রবার দুপুরে রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরে আয়োজিত মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ (চাল) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) এস এম ফেরদৌস ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়াৎ হুসেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহা-পরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহবুবুল হক, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের মহা-ব্যবস্থাপক এম আর কে জাকারিয়া, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মারুফ আহম্মেদ ও রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী আরও বলেন, রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ হচ্ছে মিটা পানির মাছের ভান্ডার। একই সাথে এ হ্রদ কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম। তাই এ হ্রদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে। হ্রদের যত্ন নিতে হবে স্থানীয়দের। হ্রদের উপর কোনো রকম অত্যাচর করা যাবে না। বিশেষ করে হ্রদ ঘিরে অবৈধ স্থাপনা গড়া বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, মাছেরা স্বচ্ছ পানিতে প্রজনন ক্ষমতা পায়। তাই হ্রদের পানি স্বচ্ছ রাখতে হলে হ্রদের বর্জ্য নিষ্কাশন বন্ধ করতে হবে। এ হ্রদ ড্রেজিং করতে হলে অনেক গবেষণা প্রযোজন। পরিকল্পনা ছাড়া হ্রদ ড্রেজিং করা যাবে না। মৎস্য উৎপাদনের জন্য চ্যানেলগুলো সচল করা খুবই প্রয়োজন।
পরে তিনি রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের জেলেদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ করেন। একই সাথে কাপ্তাই হ্রদে ৪৫ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা হ্রদ অবমুক্ত করেন।
Leave a Reply