কালনা সেতু উদ্ভোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক,

 

নড়াইলে মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতি সেতু  সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার কিছু পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ, নড়াইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় যুক্ত হয়ে সেতুটি উদ্বোধন করেন।

 

 

সেতু উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেতুটি ভ্রমণের সময় কমিয়ে সড়ক যোগাযোগকে আরও সহজ, দ্রুত এবং সহজলভ্য হবে। এর পাশাপাশি দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ব্যাপকভাবে ত্বরান্বিত হবে ।

আজ (১০ অক্টোবর) রাত ১২টায় মধুমতি সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ।

সেতুটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর উপর ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মিত হয়েছে ।

সেতুটি নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর এবং ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে।

সেতু প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, সেতুটি চালু হওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ দ্রুত সড়ক যোগাযোগ সুবিধা পাবে। কারণ, সেতুটি কালনাঘাট-ঢাকা পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব কমিয়ে দেবে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ১০টি জেলার মানুষ কম সময়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত সুবিধা পাবে। সেতুটি দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল, যশোর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভ্রমণের সময়ও কমিয়ে দেবে।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা এবং নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মধ্যে মধুমতি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

 

এই অঞ্চলের মানুষ এখন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট হয়ে ঢাকা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ব্যবহার করে যা যশোর থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে আরও ১০০ কিলোমিটার বেশি ভ্রমণ করে।

মেতু প্রকল্পের কর্মকর্তাদের মতে, সেতুটি এশিয়ান হাইওয়ের একটি অংশ যা রাজধানীকে দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে যুক্ত করবে।

সেতুটিতে ২৭.১ মিটার চওড়া  চারটি উচ্চ গতির লেন ৪.৩০ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড এবং দুটি সার্ভিস লেনসহ ছয়টি লেন আছে।

এ বিষয়ে যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম মিলন জানান, সেতুটি এ অঞ্চলের অর্থনীতির গতি চাঙ্গা করবে ।

বেনাপোল স্থলবন্দর, মংলা সমুদ্র বন্দর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এ অঞ্চলের বাসিন্দারা একদিনের মধ্যে ঢাকায় তাদের কাজ শেষ করে ঘরে ফিরতে পারবেন ।

 

বিভাগ : জাতীয়

 

বেতনা নিউজ ২৪ /নি/ডে/

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version