অনলাইন ডেস্ক,
(১৯ আগস্ট) ভোর থেকে সৈকতে ভিড় করছে নানা বয়সী মানুষ। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালিতে নেমেছেন হাজারো পর্যটক। কক্ষ খালি না থাকায় পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হোটেল-মোটেল মালিকরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ছিল জন্মাষ্টমীর ছুটি। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির থাকায় কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি বাড়ছে। এখানকার অধিকাংশ হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। থাকার জায়গা না পেয়ে পর্যটকরা আশপাশের বাসায় রাত্রিযাপন করছেন।
ঢাকার গুলশানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৫২ জন সহকর্মী ঘুরতে এসেছেন কুয়াকাটায়। তাদের মধ্যে মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আবহাওয়া ভালো দেখে ঘুরতে আসার প্রোগ্রাম করেছি। এসে বৈরী আবহাওয়ায় কবলে পড়েছি। সকাল ৬টার দিকে কুয়াকাটায় পৌঁছে নাস্তা খেয়ে ৯টার দিকে সমুদ্রে গোসল করেছি।
কুয়াকাটা সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. মধু হাওলাদার বলেন, আজ সকাল থেকে দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। তারপরও সৈকতে হাজারো পর্যটক জড়ো হয়েছেন। আমার বেচাকেনা খুব ভালো হয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, প্রতি বছরের বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যেত।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমএ মোতালেব শরিফ বলেন, তিন দিনের ছুটি থাকায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। বর্ষা মৌসুমে এত পর্যটক কুয়াকাটায় আসে না।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, টানা তিন দিন বন্ধের আজ দ্বিতীয় দিন। আজ সৈকতে প্রচুর পর্যটক গোসলে নেমেছেন। আমাদের কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
বেতনা নিউজ ২৪/অ/ডে/
Leave a Reply