প্রেম কিংবা বিয়ে উপলক্ষ্য যেটাই হোক প্রিয়জনকে প্রস্তাব দেওয়ার নিয়ম কিন্তু একই। বাঁ হাঁটু মাটিতে ভাঁজ করে প্রিয়জনের সামনে বসে বাড়িয়ে দিতে হয় ডান হাত। হাতে থাকবে গোলাপ কিংবা আংটি। আর অপেক্ষা একটি “হ্যাঁ” শব্দের।
তবে, এই যে প্রস্তাব দেওয়ার চিত্র দেশ-কাল-পাত্র ভেদে কেন এভাবেই শতাব্দীর পর পর শতাব্দী চলে আসছে?
ভালোবাসা প্রকাশের ধরন বদলে গেলেও এই প্রেম প্রস্তাব দেওয়ার ধরন রয়ে গেছে একই রকম।
হাঁটু ভাঁজ করে বসে প্রেম প্রস্তাব দেওয়ার এই রীতিটি যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি থেকে এসেছে তা বলাই বাহুল্য। তবে, এই ভঙ্গিটির পেছনে রয়েছে একটি প্রাচীন ইতিহাস।
ADVERTISEMENT
ইতিহাস বলছে, একে অপরের প্রতি সৌজন্য প্রকাশের উদ্দেশ্যে মধ্যযুগে অনেক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাঁটু ভাঁজ করে বসার প্রথা ছিল।একে বশ্যতা বা সম্মান প্রদর্শনের প্রতীক হিসেবেও দেখা হতো। সে সময়ে স্ত্রী কিংবা অভিজাত নারীদের সামনে হাঁটু মুড়ে বসে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করা হতো। এভাবে বসাকে সারাজীবন ভালোবাসার মানুষের বিশ্বাস বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি হিসবে মনে করা হতো।
তবে, এই ভঙ্গিতে বসে প্রস্তাব দেওয়ার একটি বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও গবেষকরা দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে হাঁটু ভাঁজ করে প্রস্তাব দেওয়ার কারণ।
গবেষণা অনুযায়ী, যেহেতু অধিকাংশ মানুষই ডানহাতি তাই, ডান হাত সবারই কিছুটা বেশি সক্রিয় থাকে। তাই প্রস্তাব দেওয়ার সময় সবাই ডান হাতে ধরা ফুল কিংবা উপহার বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু, পায়ের ক্ষেত্রে বিষয়টি ঠিক উলটো। যেই হাত সক্রিয় তার বিপরীত দিকের পা অনেক সময় সক্রিয় হয়ে যায়। আবার হাতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে গিয়েও বিপরীত পা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে, প্রিয়জনের দিকে ডান হাত বাড়িয়ে দিলে বাঁ পা ভাঁজ করে বসা বেশি স্বস্তিদায়ক বলে মনে হবে।
Leave a Reply