চিরকুট পড়ে স্বর্ণালঙ্কার খোয়ালেন নারী

অনলাইন ডেস্ক,রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় ইজি বাইকের মধ্যে থাকা নারী যাত্রীকে চিঠি (চিরকুট) পড়তে দিয়ে নারীর কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক চক্র।

ভুক্তভোগী আছমা আক্তার রিয়া (৩৫) তিনি উপজেলার পাইককান্দি ভাটিয়াপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামান শিপন মুন্সীর স্ত্রী। ভুক্তভোগী শুক্রবার দুপুরে বালিয়াকান্দি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী আছমা আক্তার জানান, গত বৃহস্পতিবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় বালিয়াকান্দি চৌরাস্তা থেকে আমি ও আমার মা রোকেয়া বেগম (৭০) একটি ভ্যানে উঠি বাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তাৎক্ষনিক আরেকজন যাত্রী ভ্যানের পিছনে ওঠে।

এরপর বালিয়াকান্দি কেন্দ্রীয় গোরস্থানের সামনে গেলে ভ্যান চালক বলেন ভ্যানটি নষ্ট হয়ে গেছে বলে আমাকে একটি অজ্ঞাত ড্রাইভারের অটোতে উঠিয়ে দেয়। আমার সাথের ভ্যানের পিছনে বসা লোকটিও অটোতে ওঠে। অটোর মধ্যে আরও একজন আগে থেকেই বসা ছিলো।

এরপর অটোটি রওনা হয়ে বালিয়াকান্দি শ্বশানের দিকে যাওয়ার সময় আমার ভ্যানের পিছনে থাকা লোকটি অটো ড্রাইভারকে অটোটি থামাতে বলে এবং সে নিচে নেমে রাস্তায় পড়ে থাকা টাকায় মোড়ানো একটি কাগজ নিয়ে আসে।

সে আমাকে কাগজটি পড়তে দেয় ও বলে এটাতে কি লেখা আছে আমি পড়তে পারি না আপনি একটু পড়ে আমাকে বলেন। আমি কাগজটি পড়তে পড়তে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাই। সাথে আমার মা তিনিও দুর্বল হয়ে যায়।

অটোটি বালিয়াকান্দি শ্বশানের সামনে যাওয়া মাত্রই অটো ড্রাইভার জানায় তার গাড়ীটি নষ্ট হয়ে গেছে বলে তিনি অটোর পিছনে চলে যায়। এরপর যাত্রী বেশে থাকা ওই দুই ব্যক্তি আমার গলায় থাকা ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, হাতে থাকা ৩ আনা ওজনের স্বর্নের আংটি, ৪ আনা ওজনের কানের দুল এবং নগদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।

চোখের সামনে এগুলো দেখলেও ডাক চিৎকার করার মতো ক্ষমতা আমার ছিলো না। আমার মায়েরও একই অবস্থা হয়েছিল তিনিও কথা বলতে পারছিলেন না। এক কথায় আমরা আমাদের বোধ শক্তি হারিয়ে ফেলি।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ হয়েছে কিনা আমি এখনো জানি না। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করা হবে।

 

 

 

 

 

বেতনা নিউজ ২৪/অ/ডে/

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version