
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন অভিযোগ করে রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ছাত্রদল৷ সেখানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন৷ আমাদের আদর্শিক মাকে নিয়ে তিনি কটূক্তি করেছেন৷ তাই আমরা উত্তপ্ত৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রথমে টিএসসির জনতা ব্যাংকের সামনে ছাত্রদল কর্মী আতিক মোর্শেদকে মারধর করেন৷ এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসুরা আলমও লাঞ্ছিত হন৷ পরে টিএসসির প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রদলের আরেক কর্মীকে মারধর করা হয়৷ পরে টিএসসি এলাকায় কবি জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মিছিল হয়৷ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল প্রমুখ পেছনে থেকে নেতৃত্ব দেন৷

ছাত্রলীগের হামলায় আতিক মোর্শেদ নামের ছাত্রদলের এক কর্মী ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমান৷ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমাদের সাধারণ সম্পাদক কোনো অপমানজনক বক্তব্য দেননি। গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন৷ ছাত্রলীগ যে হামলা করেছে, তা পৈশাচিক ও শিষ্টাচারবহির্ভূত৷’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ছাত্রদলের ওপর ‘হামলার প্রশ্নই আসে না’ এবং ছাত্রদলকে তাঁরা গণতান্ত্রিকভাবে মোকাবিলা করতে চান।
ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতাদের বক্তব্যে আমরা যে ধরনের শিষ্টাচার দেখি, সেটি খুনি ও দণ্ডপ্রাপ্ত উচ্চমাধ্যমিক পাস না করা একজন জাতীয় নেতা এবং অষ্টম শ্রেণি পাস প্রধানমন্ত্রীর মানদণ্ডেরই উপযুক্ত৷ ছাত্রদলের এসব কর্মকাণ্ড, উসকানিমূলক বক্তব্য-বিবৃতি এবং অছাত্র-বহিরাগতদের কাছে ছাত্ররাজনীতির ঠিকাদারি দেওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তাদের ওপর শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আছে৷
Leave a Reply