1. admin@betnanews24.com : Betna :
তুরস্কের আডিন সমুদ্র সৈকতে আভিজাত্যপূর্ণ 'আডিন বিচ হোটেল' | বেতনা নিউজ ২৪
বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪২ অপরাহ্ন

তুরস্কের আডিন সমুদ্র সৈকতে আভিজাত্যপূর্ণ ‘আডিন বিচ হোটেল’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
  • প্রকাশিত : শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২
  • ১১৯ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

 

তুরস্কের আডিন সমুদ্র সৈকত। এটি ভূমধ্যসাগরের সৈকত। এখানে রয়েছে বিখ্যাত ‘আডিন বিচ হোটেল’। এখানে মুসলিম পর্দানশীন নারীদের জন্য রয়েছে বিশাল বিশাল সুইমিং পুল। নারীদের এখানে বুরকিনি পরা লাগে না। স্বাচ্ছন্দ্যে সাঁতার কাটার জন্য এসব পুলগুলো তৈরি করা হয়েছে, সূর্যের তাপও গ্রহণ করা যাবে। খবর মিডল ইস্ট মনিটর।

 

হোটেলের ভাইস চেয়ারম্যান হিলাল উইসাল নামাল জানান, বুরকিনিতে সাঁতার কাটা সহজ নয়। এতে মহিলারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তাছাড়া স্বাস্থ্যগত কারণে বুরকিনিতে সাঁতার কাটা ঝুকিঁপূর্ণ। চিকিৎসকরা পর্দানশীন নারীদের সূর্যের তাপ গ্রহণ করতে উৎসাহ দেন, কারণ তাদের (পর্দানশীন নারী) শরীরে সূর্যের রোদ লাগে না বললেই চলে।

হিলাল ব্যাখ্যা করেন, এখানে সাঁতারের পোষাক বুরকিনির প্রয়োজন নেই। আমাদের তিনটি সৈকত আছে। এরমধ্যে একটি মহিলাদের জন্য, একটি পরিবারের জন্য এবং একটি পুরুষদের জন্য। মহিলাদের সমুদ্র সৈকত সম্পূর্ণ নির্জন।

আডিন বিচ হোটেলটি ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়েছিল এবং তখন থেকে বারান্দায় গরম টবসহ প্রিমিয়াম রুম এবং তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত ভিলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

হিলাল বলেন, আডিনের বেশিরভাগ গ্রাহকই তুরস্ক থেকে আসে। তবে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি এবং পাকিস্তান থেকেও পর্যটক আসে।

আডেনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক ওমের আকগুন তেকিন বলেন, আডিনের মতো হোটেলগুলো মুসলিম বন্ধুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং তুরস্কতে এই হোটেলগুলো বিশেষভাবে জনপ্রিয়। যা ইতোমধ্যেই ঐতিহ্যগত পর্যটন সেবায় গ্লোবাল জায়ান্টে রূপ নিয়েছে।

তেকিন বলেন, তুরস্কের আশেপাশে ৫ ঘণ্টার ফ্লাইট ব্যাসার্ধের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মুসলমান বাস করে। এ কারণে তুরস্কে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম পর্যটন সেবা সহজেই মেলে। এই অঞ্চলে তুরস্ক আরও বেশি সংখ্যক হোটেল মুসলিমদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

আডিন হোটেলে হালাল পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন নামি-দামি খাবার এবং অ্যালকোহলমুক্ত পরিবেশ। যদিও শিল্পটি হালাল হোটেল ব্যবসা হিসেবে বেশি পরিচিত। তবে প্রযুক্তিগতভাবে পরিভাষাটি ত্রুটিযুক্ত। কারণ এটিকে হালাল বলার জন্য প্রয়োজনীয় মান পূরণ করা প্রায় অসম্ভব।

 

 

বেতনা নিউজ ২৪ /আ/ডে/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা