অনলাইন ডেস্ক,
নাটোরে সমতলভূমিতে বালির বস্তা আর ত্রিপল ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে পুকুর তৈরী করে বাণিজ্যকভাবে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মাহমুদুন্নবী মিলন।
মাহমুদুন্নবী মিলন নাটোর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সাইনৃস এন্ড টেকনোলজির চীফ ইন্সট্রাকটর। পাশাপাশি কিছু এটা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে মাছ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন৷
বাড়ির পাশে কয়েক শতক জমি নিয়ে মাছ চাষ শুরু করলেও বর্তমানে তার একবিঘা জমি লীজ ৮-১০টি পুকুর রয়েছে। যেসব পুকুরে ৪ জাতের মাছ চাষ করেন তিনি। এখন প্রতিবছর ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা আয় করছেন তিনি।
নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার বনপাড়া বাইপাস এলাকায় মাহমুদুন্নবী মিলনের মৎস্য খামারে গিয়ে দেখা যায়, সমতল ভূমিতে কৃত্রিমভাবে পুকুর তৈরি করে বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষের এ দৃশ্য। চারিদিকে বেশ কয়েকটি পুকুর। তবে সেগুলো খনন করা পুকুর নয়, চারিদিকে বালিভর্তি করা সিমেন্টের বস্তা দিয়ে চারিপেশের মোড়ানো ত্রিপল দিয়ে ৩-৫ ফিট উচ্চতায় পুকুর আকৃতি। সেখানেই হচ্ছে মাছে চাষ। পুকুরগুলোতে কয়েকজন শ্রমিক এক পুকুর থেকে আরেক পুকুরের পানি দিচ্ছে। আবার মাছের খাবার দিচ্ছে।
তার পুকুরগুলো ঘুরে দেখা যায়, তার ১০টি কৃত্রিম পুকুরে রয়েছে শৈল, গুলশা, টেংরা, কৈ মাছসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। মাছগুলো তার পুকুরে লাফালাফি করছে।
স্থানীয়রা জানান, মিলন স্যার শিক্ষকতার পাশাপাশি মাছ চাষে সফলতা পেয়ে জীবনের মোড় ঘুরিয়েছেন। এমন দৃষ্টান্ত দেখে নতুন করে অনেকে মাছ চাষে ঝুঁকছেন। এছাড়া অনেক বেকার যুবক ও আশপাশের লোকজন তার পুকুরে শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়ে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। অনেকেই আসেন এই পুকুর দেখতে।
কুষ্টিয়া থেকে খামার দেখতে আসা হাবিবুল আলম বলেন, মিলন সাহেবের মাছ চাষের সাফল্য দেখতেই আমার এখানে ছুটে আসা। পুকুর ঘুরে ঘুরে দেখে অবাক হয়েছি। সমান জমিতে বালির বস্তা আর ত্রিপল ব্যবহার করে কত সুন্দরভাবে মাছের চাষ করছে। আমিও তার পরামর্শ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মাছচাষ নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে মাহমুদুন্নবী মিলন বলেন, আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মাছ চাষের খামারকে আরও সম্প্রসারণ করা। শুধু সরকারি চাকরি আর বিদেশগামী না হয়ে দেশের প্রতিটি এলাকার যুবকদের প্রত্যেকের নিজ এলাকায় আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করা উচিত। অনেকেই মাছ চাষের পরামর্শ নেওয়ার জন্য আমার কাছে এলে আমি তাদের সঠিক মাছ চাষের পরামর্শ দিয়ে দেই।
বেতনা নিউজ ২৪ /অ/ডে/
Leave a Reply