1. admin@betnanews24.com : Betna :
নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রনে রাখার কৌশল | বেতনা নিউজ ২৪
রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন

নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রনে রাখার কৌশল

অনলাইন ডেস্ক,
  • প্রকাশিত : রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২০২ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক,

 

নফস আরবি শব্দ । নফস শব্দের অর্থ প্রাণ, আত্মা । যা সকল প্রাণীর দেহেই বিরাজমান। নফস হলো একটি অলৌকিক বস্তু, যা মানুষের দেহে ফুঁ দিয়ে প্রাণের সঞ্চার করা হয়। অথবা নফস সেটাই যা আল্লাহ মানব দেহে ফুঁকে দিয়েছেন। মৃত্যুর সময় যা দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা বলছেনঃ- কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মউত। অর্থাৎ প্রত্যেক নফস তথা প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। (আলে-ইমরানঃ ১৮৫)

 

নফস পাঁচ প্রকার :- 

ক. নফসে আম্বারাহ (প্রতারক আত্মা)

খ. নফসে লাওয়ামাহ (অনুশোচনাকারী আত্মা)

গ. নফসে মুতামায়িন্নাহ (প্রশান্ত আত্মা)

ঘ. নফসে মুলহিমাহ : যে পরিশুদ্ধ নফস সর্বদা আল্লাহ হতে ‘এলহাম’ (আল্লাহ প্রদত্ত ইলম বা জ্ঞান)

ঙ. নফসে রহমানিয়া : রহমান আল্লাহ তায়ালার একটি বিশেষ গুণবাচক নাম। অর্থ- দয়া, করুনা ইত্যাদি।

 

 

 নফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ১৫ টি কৌশল :-

১. ফজরের পরে না ঘুমানোর অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে কাইলুলা (দুপুরের হালকা ঘুম) করা যেতে পারে ।
২. দিনে ম্যক্সিমাম তিনবার খাবার অভ্যাস করুন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝখানে হাবিজাবি খাবার- যেমন ফাস্টফুড, স্ট্রিটফুড খাওয়া যাবে না। ক্ষুধা লাগলে খেজুর, আপেল এগুলো খাওয়া যায়।
৩. প্রতিবেলা খাবার সময় যেটুকু খাবার প্রয়োজন বলে মনে হবে তার থেকে একটু কম খাবেন।
৪. অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন মন্তব্য করার আগে একবার চিন্তা করুন এই কথাটা আপনি না বললে কি কোন লস আছে? বলা কি আবশ্যক? উত্তর না হলে, সে কথা বলার দরকার নাই।
৫. সকাল সন্ধ্যার জিকির-আযকার পাঠ করুন।
৬. ইশরাকের সালাত আদায়ের অভ্যাস করুন।
৭. প্রতিদিন নিয়মত কুরআন পড়ার অভ্যাস করুন। হতে পারে ১ রুকু থেকে ১ পারা – যেকোন পরিমাণ।
৮. ঘুমের পরিমাণ কমাতে হবে।
৯. ফজরের পরে কিছুক্ষণ ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। আর কিছু না পারলে ১৫-২০ মিনিট জগিং করে এসে গোসল করে ইশরাকের সালাত পড়ার অভ্যাস করা।
১০. নিজের চক্ষুকে অবনত রাখুন। না পারলে ওইসব জায়গা এড়িয়ে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।
১১. ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার (সোশ্যাল মিডিয়া) একেবারেই কম ব্যবহার করা।
১২. প্রতিদিন হিফজের একটা টার্গেট নেয়া। এটা প্রতিদিন এক আয়াতও হতে পারে৷ কিন্তু টার্গেট পুরা করতে হবে। এটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ।
১৩. বিশেষকরে রাতে অতিরিক্ত খাওয়া পরিহার করতে হবে৷
১৪. রাতে ঘুমানোর আগে অযু করে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করে নিন এবং ঘুম না আসা পর্যন্ত আসতাগফিরুল্লাহ পড়তে পড়তে থাকুন।
১৫. নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের অভ্যাস করুন। ইনশাআল্লাহ, রাব্বে কারিম আপনার অন্তরকে প্রশান্ত করে দিবেন।
বেতনা নিউজ ২৪ /অ/ডে/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা