বুধবার ন্যাটোর সদরদপ্তরে দেশ দুটির রাষ্ট্রদূত এই আবেদনপত্র জমা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
একে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে উল্লেখ করে দেশ দুটির আবেদনকে স্বাগত জানিয়েছেন ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিলে বাল্টিক সাগরে নিরাপত্তা জোরদার হবে বলেও জানান তিনি।
দেশ ২টির রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণের পর স্টলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ন্যাটোতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের যোগ দেওয়ার আবেদনকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আপনারা আমাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এই আবেদনে এখন জোটভুক্ত ৩০ দেশের সমর্থন প্রয়োজন।
‘এই প্রক্রিয়ায় ২ সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে’ উল্লেখ করে এতে আরো বলা হয়, যদিও এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসিপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার আপত্তির কথা জানিয়েছেন।
যদি তার আপত্তি দূর করা যায় এবং সব প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলে তাহলে আশা করা হচ্ছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে।
সাধারণত ন্যাটোর সদস্য পদের প্রক্রিয়া শেষ করতে ৮ থেকে ১২ মাস সময় নেওয়া হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, নরডিক দেশ দুটি পশ্চিমা এই সামরিক জোটে যোগ দিলে রাশিয়া-ফিনল্যান্ড সীমান্তে অবস্থান নেবে ন্যাটো সেনারা। এ ঘটনাকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে ক্রেমলিন।
Leave a Reply