পটুয়াখালীতে রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম

অনলাইন ডেস্ক,

 

সম্প্রতি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার দক্ষিণ রাজাখালী গ্রামে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও পোড়ামাটির খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিম্নমানের ইট সরিয়ে ভালো ইট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

সোমবার (২২ আগষ্ট) সরেজমিনে রাজাখালী গ্রামের বেইলি ব্রিজ পূর্ব পাড়ের ঢাল থেকে আশার আলো বেকারি হয়ে গাবতলি বাজার পর্যন্ত পরিদর্শনের সময় দেখা যায়, শ্রমিকদের হাতুড়ির ঠুনকো আঘাতে গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে তথাকথিত ইট। রোলার দিয়ে সামান্য রোলিং করার ফলে গুঁড়া হয়ে পাউডারের মতো হয়ে যাচ্ছে ইট-পোড়া মাটি। এ ছাড়া খালের পাশে পাইলিং করলেও মাটি ভরাট না করার কারণে জোয়ারের পানিতে ভরে গিয়ে ধসে খোয়া পড়ে যাচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা যায় , সড়কটির নির্মাণ কাজ পেয়েছে ‘নজরুল ইসলামী ডেভেলপমেন্ট কনস্ট্রাকশন’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে মেসার্স তালুকদার এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আ. হক তালুকদার তার ছেলে ইমরানকে দিয়ে এ রাস্তার কাজ পরিচালনা করছে।

 

 

স্থানীয়রা জানান, সেই ২০২১ সালের রাস্তার কাজ দফায় দফায় বন্ধ হওয়ার পর গত কয়েক দিন ধরে পুনরায় শুরু হয়। সম্প্রতি খুবই নিম্নমানের ইট ও পোড়ামাটির গুঁড়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আপনারা দেখেন ১ কিলোমিটার রাস্তার বেশির ভাগই পঁচা ইট দেওয়া হয়েছে। যা খুবই নিম্নমানের, এক কথায় এর থেকে চুলার মাটিও ভালো।

রাস্তা থেকে খোয়া তুলে এক পথচারী নারী বলেন, আমার যে চুলার মাটি তার চেয়েও এই খোয়াগুলো নরম।

সড়ক নির্মাণের রোলিংয়ের কাজে নিয়োজিত ড্রাইভার মো. বাবুল এর কাছে ইটের মান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইটের মান খারপ হয়েছে।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. নজরুল ইসলাম আকন বলেন, অফিসের সিষ্টেমে অফিস কাজ করে। ওটা অফিস বুঝবে। এই কাজ পরিচালনাকারী মেসার্স তালুকদার এন্টারপ্রাইজ এর সত্ত্বাধিকারী মো. আ. হক তালুকদার বলেন, ইটের ভাটা থেকে দেওয়ার সময় হয়তো শ্রমিকরা কিছু দুই নম্বর ইট দিয়েছে। আমি ভাটার মালিকের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সড়কটির নির্মাণকাজের তদারকি করছেন উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরাফ উদ্দীন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরেজমিনে গিয়ে কিছু ইট খারাপ দেখেছি। কাজ বন্ধ রেখে ভালো ইট আনার জন্য বলেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঠিকাদারকে সকল নিম্নমানের ইট সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেছি। ভালো ইট দিয়ে কাজ করতে বলেছি।

 

 

বেতনা নিউজ ২৪ /অ/ডে/

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version