অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের ১২৩০ কোটি টাকার পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। সরকার গৃহীত বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। এই টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে বার্ষিক কন্টেনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টিইইউএস। পিপিপি (সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব) ভিত্তিতে টার্মিনালটি পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছে বেশক’টি বিদেশী প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, একাধিক দফায় সময় বাড়ানোর পর প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২২ ছিল সালের জুন মাস পর্যন্ত। ২০০৭ সালে নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (এনসিটি) চালু হওয়ার প্রায় পনেরো বছর পর এটি আরেকটি টার্মিনাল যা অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সরকার জানান, নবনির্মিত এই টার্মিনালে আগামী ২১ জুলাই প্রথম জাহাজ ভেড়ানো হবে। এই জাহাজটি হবে কার্গো (খোলা পণ্য) ভেসেল। পরে কন্টেনার জাহাজও ভিড়বে। তবে কী-গ্যান্ট্রি ক্রেন না থাকায় সেখানে আপাতত গিয়ারড (ক্রেনযুক্ত) জাহাজ ভেড়ানো হবে। অপারেটর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত জাহাজগুলোতে সংযুক্ত নিজস্ব ক্রেন দিয়েই কন্টেনার হ্যান্ডলিং হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেনাল টার্মিনাল পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছে ৫টি বিদেশী প্রতিষ্ঠান। এগুলো হচ্ছে সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসসিটি), দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড, পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথরিটি (পিএসএ), ভারতের আদানি স্পেশাল ইকনোমিক জোন অথরিটি এবং ডেনমার্কভিত্তিক এপি মুলার। যে প্রতিষ্ঠানই কাজ পাক না কেন, তাকে যন্ত্রপাতি নিয়েই আসতে হবে। টার্মিনালটি পরিচালিত হবে সরকারী বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে।
ব্যবসায়ীদের অন্যতম শীর্ষ সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, অনেক প্রতীক্ষার পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে তা চালু হতে যাচ্ছে ।
Leave a Reply