গত সোমবারই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ফোন করেন শাহবাজ শরিফকে। শরিফকে চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চীন আশা করে, পাকিস্তান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে। এ জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে, শোকাহত পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সান্ত্বনা দেবে এবং চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যাপকভাবে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করবে। এমন হতাহতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান লি।
গত মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই ছিল চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শাহবাজের প্রথম টেলিফোন আলাপ। হামলায় নিহত চীনা নাগরিকদের জন্য আবার শোক প্রকাশ করে সমবেদনা জানান শাহবাজ শরিফ। পাশাপাশি তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
করাচিতে হামলার পর পাকিস্তানের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে কর্মরত চীনা শিক্ষকদের সরিয়ে নিয়েছে বেইজিং। পাকিস্তানজুড়ে পাঁচটি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ও দুটি কনফুসিয়াস শ্রেণিকক্ষ আছে। কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচারের জন্য কাজ করে। সেখানে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী চীনা ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করছেন। করাচিতে বিস্ফোরণের পর চীনা নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাকিস্তানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকেরা ইতিমধ্যেই চীনে ফিরে গেছেন।
চীনা সরকার সিন্ধু সরকারের তদন্তে ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গেও কথা বলেছেন। সিন্ধু প্রদেশে এখন ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি। দলটির সভাপতি বিলাওয়াল। তথ্যসূত্র: ডন
Leave a Reply