সিলেট জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও পানি ওঠায় চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে লোকজনকে। ঢলের পানিতে ভেসে গেছে হাওরের উঁচু এলাকার বোরো ফসল। পানিতে বাদামসহ নষ্ট হয়েছে মৌসুমি সবজি।
নদী ও খাল উপচে পানি ঢুকেছে সিলেট নগরীর মাছিমপুর, কুশিঘাট, কানিশাইল, সোবহানীঘাট ও উপশহর এলাকায়।
এ ছাড়াও প্লাবিত হয়েছে সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জে উপজেলার নিচু এলাকা।
সুনামগঞ্জে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহীম, সদরগড়, সৈয়দপুর এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার তিন ইউনিয়নের বরকত/নগর, শরীপুর গোজাইড়া, মহব্বাতপুর মামদপুর, মারফতি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে পানি ওঠায় মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে সিলেটের আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের কারণেই মূলত সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পানি বেড়েছে। তা ছাড়া উজানের ঢলের কারণে সিলেটের নদনদীর পানি বাড়ছে। তিন দিন আগেও যেখানে পানি নদীর পাড় থেকে কয়েক ফুট নিচে ছিল সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েছে।
ঢলের পানিতে জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুরসহ নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। ডুবে আছে এসব এলাকার বাদামসহ মৌসুমী সবজি।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, পানিতে সদর ও তাহিরপুর উপজেলার ২০ হেক্টর বোরো জমি তলিয়ে গেছে।
সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানান, সিলেটের নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর সেই পানি উজান বেয়ে বাংলাদেশে আসছে। যদি ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টি না কমে, তবে এই পানি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
Leave a Reply