দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী টাঙ্গাইলের নাজমুল। সড়ক দুর্ঘটনা তাকে টেনে এনেছে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই ২৬ দিনের। সংক্রমণ না কমায় রক্ত পরীক্ষা করে জানা গেছে, কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই তার শরীরে কাজ করছে না।
তার পাশেই আরেক রোগী শরীয়তপুরের আজিজুল হক। তার নিউমোনিয়া কমছে না। তারও একই অবস্থা, কাজ করছে না কোনো অ্যান্টিবায়োটিক।
একবার ভাবুন, আপনি গুরুতর অসুস্থ কিন্তু কাজ করছে না কোন অ্যান্টিবায়োটিক। এমন অবস্থা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলের এই আইসিইউতে। এখানে ভর্তি প্রায় প্রতিটি রোগীরই বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে গেছে। আর এমন বাস্তবতা সারা দেশের আইসিইউগুলোতেই।
পরিস্থিতি জানতে ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত যৌথ গবেষণা চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ক্যাপচুরা। দেশের ৩২টি ল্যাব থেকে ১০ লাখের বেশি কালচার সেনসিটিভিটি রিপোর্ট নেয় তারা। এতে দেখা যাচ্ছে, জীবাণুর বিরুদ্ধে অকার্যকর প্রচলিত ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ অ্যান্টিবায়োটিক। ১৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষের তুলনায় নারীর মধ্যে রেজিস্ট্যান্স বেশি।
চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, গত ২০ বছরে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক এসেছে মাত্র ৫টি। শিগগিরই নতুন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক আসার সম্ভাবনাও কম। সতর্ক না হলে বিপদ আরো বাড়বে।
Leave a Reply