মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কোন উদ্বেগ নেই : জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

 

সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী জাতিসংঘের দৃষ্টিতে মানবাধিকার  বিষয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো উদ্বেগ প্রকাশিত হয়নি। যেসব দেশ ও অঞ্চলে মানবাধিকার এবং মানবিক অধিকার নিয়ে সমস্যা ও উদ্বেগ রয়েছে, সেটি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেলের সর্বশেষ রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। ওই রিপোর্টে উল্লিখিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নাম দেখা যায়নি।

 

মিশেল উল্লেখ করেন, তার এই মেয়াদকালে পৃথিবীর মৌলিক পরিবর্তন ঘটেছে। বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারির অপরিসীম নেতিবাচক প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং ইউক্রনে যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর দেশে দেশে তীব্র খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক সংকট- এই তিনটি বিষয়ই হলো বর্তমান বিশ্বের প্রধান ইস্যু।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে মিশেল ব্যাচেলেটের রিপোর্টে রিপাবলিক অব কঙ্গোর যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের কথা উল্লেখ করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তন এবং অবৈধ মাইনিংয়ের কারণে বিভিন্ন ঝুঁকিতে থাকা পেরুর আদিবাসীদের অধিকারের কথা বলা হয়। আফ্রিকার বুরকিনা ফাসোতে বাস্তুচ্যুত মানুষদের অসহায়ত্বের কথাও উল্লেখ করা হয়।

অপরদিকে,  ভেনিজুয়েলায় ২০১৭ সালে প্রতিবাদ সমাবেশে এক তরুণের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি বসনিয়ায় ২৭ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া এক তরুণের কথাও উঠে আসে।

তিনি উল্লেখ করেন, মৃত্যুদণ্ড বাতিলের বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে, প্রায় ১৭০টি রাজ্য তাদের আইনে স্থগিতাদেশ বাতিল করেছে , অথবা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করেছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাঁদ, কাজাখস্তান, সিয়েরা লিওন এবং পাপুয়া নিউগিনি যারা মৃত্যুদণ্ড পুরোপুরি বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।

তিনি ( ব্যাচেলেট )প্রায় ভুলতে বসা ইয়েমেন, সিরিয়া, আফ্রিকার সাহেল এলাকা এবং হাইতিতে মানবাধিকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের রিপোর্টের বড় আকারে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও মানবিক বিপর্যয়ের ফলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ১১ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। রিপোর্টে মিয়ানমারে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দেশটির জান্তা সরকারকে দায়ী করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

রিপোর্টে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সে কথাও উল্লেখ করা হয়। ইউক্রেনে আক্রমণ বন্ধের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে, উভয় পক্ষকেই  সব পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করার অনুরোধ জানানো হয়েছে ।

 

 

 

 

 

বেতনা নিউজ ২৪ /আ/ডে/

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version