মামলা স্থগিতের আপিল করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস

অনলাইন ডেস্ক,

 

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা কেন বাতিল হবে না- এই মর্মে জারি করা রুল খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে  ( ২৪ আগস্ট ) আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন তিনি। আবেদনে ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার (২৪ আগস্ট) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানান।

 

 

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে গত ১৭ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। ফলে তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। সেদিন আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। আর শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে দুই মাস স্থগিত থাকবে বলে গত ১৩ জুন ২০২২ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

মামলার আদেশে এ সময়ের মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না- এই মর্মে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের আদেশে শুনানি নিয়ে রুলটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

 

 

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম গত ১২ ডিসেম্বর স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

আদেশে মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শন করেন । সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।

 

 

 

বেতনা নিউজ ২৪ /অ/ডে/

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version