২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দল যখন মহা ব্যাটিং বিপর্যয়ে, ঠিক তখনই ক্রিজে নামেন লিটন দাস। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলে ইতোমধ্যেই তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় শতক। ১৪৯ বল মোকাবিলায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। রয়েছে ১৩টি চারের মার। গত ম্যাচেও ৮৮ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন দলকে।
শুরুতে দেখেশুনে খেললেও ধীরে ধীরে নিজের সহজাত ব্যাটিংয়ে হাত খুলতে থাকেন লিটন দাস। সঙ্গে অভিজ্ঞ মুশফিকও সমানভাবে রানের খাতা সচল রেখে চলেছেন। পৌঁছে গেছেন আরেকটি সেঞ্চুরির দারপ্রান্তে। গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন এই ডিপেনডেবল খ্যাত এই ব্যাটসম্যান। ঢাকায় গড়া ৭৩ বছর আগের রেকর্ড ভেঙেছেন মুশফিক-লিটন।
এর আগে ২৫ কিংবা এর নিচে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ঢাকাতেই। বর্তমানের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানের ওয়ালিস মাথিয়াস ও সুজাউদ্দিন গড়েছিলেন ৮৬ রানের জুটি। ২২ রানে দল পঞ্চম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েছিলেন তারা। সেই জুটির গড়া রেকর্ড ৭৩ বছর পর দখলে নিলেন মুশফিক-লিটন।
মিরপুর টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও মুশফিক-লিটন উভয়ের অর্ধশতক রানে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাদের পার্টনারশিপের উপর ভর করে বড় লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান। ক্রিজে মুশফিক আছেন ৫৪ রানে এবং লিটন করেছেন ৬৫।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সাত ওভারের মধ্যে ২৪ রানে নেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট! কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দোর দারুণ বোলিংয়ের সামনে তখন কাঁপছে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে রক্ষা করেতে লড়াই করছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। এখন পর্যন্ত সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৮৩ রান।
ব্যর্থতার বলয় থেকে যেনো কেন ভাবেই বের হতে পারছেন না অধিনায়ক মুমিনুল হক। আলগা শট খেলে বিদায় নিয়ে দলকে বিপদে ঠেলে দিলেন তিনি। আর আসিথা ফার্নান্দো ধরে ফললেন তার দ্বিতীয় শিকার।
ঢাকা টেস্ট ম্যাচের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই বাংলাদেশের উইকেট পতন। কাসুন রাজিথার বলে বোল্ড হলেন মাহমুদুল হাসান জয়। শূন্য রানেই বিদায় নিলেন মাহমুদুল।
এর ঠিক পরের ওভারে ফার্নেন্দোর বলে ক্যাচ আউট হয়ে শূন্য রানে ফিরেছেন তামিম ইকবালও। এখন ক্রিজে আছেন শান্ত এবং মুমিনুল। ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ১৫ রান।
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে দুই পরিবর্তন নিয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামছে বাংলাদেশ। এদিকে চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশ থেকে শরিফুল ইসলাম ছিটকে গেছেন চোট নিয়ে। ওই টেস্টে পাওয়া চোটে ম্যাচের পর জানা যায় নাঈম হাসানের মাঠের বাইরে যাওয়ার খবর। এই টেস্ট তো বটেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরের সিরিজেও নেই এই দুজন।
শরিফুলের বদলে একাদশে এসেছেন পেসার ইবাদত হোসেন। নাঈমের বদলে কোনো বিশেষজ্ঞ অফ স্পিনার যুক্ত করা হয়নি দলে। একাদশে তার জায়গা নিয়েছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন।
তবে এই অলরাউন্ডারকে ব্যবহারে কৌশলি হতে চান অধিনায়ক। চট্টগ্রামে ভালো করতে না পারলেও সৈয়দ খালেদ আহমেদের ওপর আস্থার কমতি নেই মুমিনুলের।
Leave a Reply