যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের শরীরে বিরল ‘মাঙ্কিপক্স’ ভাইরাস শনাক্ত

মাঙ্কিপক্স ভাইরাস কণা/ ছবি: বিবিসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউরোপের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তির দেহে বিরল “মাঙ্কিপক্স” ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি ওই ব্যক্তি কানাডায় ভ্রমণ করেছিলেন। সেখান থেকেই ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কানাডার কুইবেক প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বিরল রোগ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সন্দেহে এক ডজনেরও বেশি মানুষের ওপর নজর রাখছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন ইউরোপীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এবার যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) ও ম্যাসাচুসেটসের জনস্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, “মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি সম্প্রতি কানাডা ভ্রমণে গিয়েছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি ভালো অবস্থায় আছেন।”

সিডিসি’র পক্সভাইরাস বিশেষজ্ঞ ইনগার ডেমন বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে পর্তুগাল, স্পেন এবং ব্রিটেনে বেশ কয়েকজনের শরীরে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে।

তবে সিডিসি জোর দিয়ে বলেছে, যৌন সম্পর্ক ছাড়াও যে কেউ মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত হতে পারেন।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা বুধবার জানিয়েছে, গত ৬ মে থেকে যুক্তরাজ্যে ৯ জনের শরীরে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এদিকে স্পেন এবং পর্তুগালও বুধবার জানিয়েছে, তারা ৪০ জনের বেশি সন্দেহভাজন বা নিশ্চিত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) এর তথ্য অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ ও শরীরে চিকেন পক্সের মতো ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে ফ্লুর মতো উপসর্গ যেমন জ্বর, পেশিতে ব্যথা এবং টনসিল হতে পারে।

মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি প্রথম একটি বন্দী বানরের মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং ১৯৭০ সাল থেকে আফ্রিকার ১০টি দেশে বিক্ষিপ্তভাবে প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে।

২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। এটি ছিল আফ্রিকার বাইরে প্রথম সংক্রমণ। প্রেইরি প্রজাতির কুকুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এর সংক্রমণ হয়। ৮১টি সংক্রমণের তথ্য রেকর্ড হলেও কোনও মৃত্যুর রেকর্ড পাওয়া যায়নি।

২০১৭ সালে এই ভাইরাসের রেকর্ড প্রাদুর্ভাব নাইজেরিয়ায় দেখা দেয়। সেখানে ১৭২ জন সন্দেহভাজন রোগী ছিল। এদর মধ্যে ৭৫% রোগী ছিল ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষ।

1 comment

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version