অনলাইন ডেস্ক,
দীর্ঘদিন ধরেই ক্রেতার নাগালের বাইরে রয়েছে রডের দাম। জাহাজ ও কনটেইনার ভাড়ার পাশাপাশি ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে এতদিন টনপ্রতি পণ্যটি বিক্রি হয়েছিল ৮৭ হাজার টাকায়। কিন্তু বর্তমানে টনপ্রতি রডের দাম ঠেকেছে ৯৫ হাজার টাকায়। দফায় দফায় দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে উৎপাদন কমে যাওয়া ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিকে।
রড তৈরির প্রধান কাঁচামাল লোহার টুকরা এবং সিমেন্ট তৈরির অন্যতম কাঁচামাল ক্লিংকার। এই দুই উপাদানই আমদানি নির্ভর। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটন লোহার টুকরায় ৫০ ডলার এবং ক্লিংকারের দাম টনপ্রতি ১৫ ডলার বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিটন লোহার টুকরা ৪৯০ ডলার এবং ক্লিংকার ৭৯ ডলারে কিনতে হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। দফায় দফায় নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে সংকটের মুখে পড়েছে আবাসন খাত।
শনিবার (১৩ আগস্ট) নগরের একেখান, ২ নম্বর গেইট, নাসিরাবাদসহ বেশকিছু এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুমাসের ব্যবধানে প্রতিটন রডে আট হাজার টাকা দাম বেড়েছে। ওই সময় প্রতিটন ৭৫ গ্রেডের রড ৮৭ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরের দুই নম্বর গেইটের ইসলাম ট্রেডার্সের মালিক ইদ্রিস মিয়া সিভয়েসকে বলেন, রডের দাম বাড়ার পেছনে তো আমাদের কোন হাত নেই। রড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো রডের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে নগরের একেখান এলাকার শাহ আলম ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী শাহ আলম ভূঁইয়া সিভয়েসকে বলেন, রডের এমন বাড়তি দাম দেখে শুধু ক্রেতা নয়, আমরাও রীতিমত অবাক।
রড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের ডিরেক্টর (করপোরেট) সামশুল হক সিভয়েসকে বলেন, বিশ্ববাজারে রড তৈরির প্রধান কাঁচামাল লোহার টুকরার দাম আগে ছিল ৪৩০ থেকে ৪৪০ ডলার। এখন তা বেড়ে ৪৮০ থেকে ৪৯০ ডলার হয়েছে। পাশাপাশি রড তৈরির কাঁচামাল কারখানায় আনতে বাড়তি পরিবহন খরচ গুণতে হচ্ছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে রডের দামটা বেড়ে গেছে।
চট্টগ্রাম এলজিইডি ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মহিউদ্দীন সেফুল সিভয়েসকে বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে সরকারের প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। শুধু রডের দাম নয়, একাধারে সিমেন্ট, পাথর, বালু, বিটুমিন সবকিছুর দাম বেড়েছে। আমরা এখন যে প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ করছি তা ২০১৮ সালের শিডিউল।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি আবদুল কৈয়্যুম চৌধুরী সিভয়েসকে বলেন, যেভাবে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ছে এতে করে আমাদের নিঃশেষ হতে আর বেশিদিন সময় লাগবে না।
বেতনা নিউজ ২৪ /অ/ডে/
Leave a Reply