নিউজ ডেস্ক,
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, রাজনীতি করা মানুষের অধিকার। প্রতিষ্ঠান কখনো রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে না। যেটি অধিকার সেটিকে নিষিদ্ধ করা যায় না। তবে দলীয় রাজনীতি কিভাবে হবে সেখানে প্রতিষ্ঠান ও তার যারা রাজনীতি করবেন তাদের মধ্যে একটা সৌহার্দ্য নিজেদের একটা বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সেটা হওয়া উচিত।
গতকাল বুধবার (৭ সেপ্টম্বর) বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (ব্যানবেইস) ইউনেস্কো পার্টিসিপেশন প্রোগ্রামের চেক বিতরণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশের ইতিহাস যদি আমরা দেখি তাহলে আমাদের যত অর্জন তার প্রতিটিতে ছাত্ররাজনীতি একটা অবদান রেখেছে সব সময়। আবার এটিও আমরা দেখেছি সামরিক স্বৈরাশাষকরা এসেছে, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা ছাত্র রাজনীতিকে অপব্যবহার করেছে। শিক্ষাঙ্গনকে অস্থির করেছে,অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রক্ত ঝরিয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল রেখে তাদের নিজেদের ইচ্ছা হাসিল করবার জন্য তারা ছাত্র রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।
দীপু মনি আরও বলেন, রাজনীতি সচেতন হওয়া প্রত্যেকটি মানুষের জন্য জরুরী। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশের জন্য ভবিষ্যত। ভবিষ্যত নেতৃত্ব যে গড়ে উঠবে তা এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, রাজনীতির নামে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা চাই না। দলীয় রাজনীতি কিভাবে হবে, সেখানে রাজনীতি যারা করবেন, সেই শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিষ্ঠানের বোঝাপড়া, সৌহার্দ থাকা উচিত। তবে আমরা চাই, দলীয় রাজনীতির নামে যেন কোনো প্রকার সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা না হয়।
শিক্ষা মন্ত্রী আরও বলেন, রাজনীতির আশ্রয় নিয়ে কেউ যেন অন্যায় ভাবে কোন ধরনের নেতিবাচক কিছু না করে। যদি ইতিবাচকতা থাকে আমার মনে হয় না সেখানে প্রতিষ্ঠানের দিক থেকেও কোন আপত্তি থাকার কথা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি ঘোষণা করেছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি চলবে না বলে ঘোষণা দেয়।
বেতনা নিউজ ২৪ /নি/ডে/
Leave a Reply