অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের অস্ত্র সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে রুখে দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা। ১২ মেজর জেনারলসহ হাজারো রুশ সেনা হত্যার দাবি জানিয়েছে কিয়েভ।
এদিকে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর দায়ে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়াকে জর্জরিত করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্ব। রাশিয়ার জ্বালানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিশ্ববাজারে অত্যধিক বেড়েছে তেল-গ্যাসের দাম।
বিশ্বের অন্যতম খাদ্য রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেনের গুদাম রুশ সেনারা অবরোধ করে রাখায় বিশ্বব্যাপী তৈরি হয়েছে খাদ্য সংকট। লাগামহীনভাবে বেড়েছে খাদ্যদ্রব্যের দাম।
যুদ্ধের ১০০ দিন পার হলেও ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়। পুতিনের মতিগতি বুঝতে হিমশিম খাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০ দিন উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ-ইউক্রেনীয়রা একই- পুতিনের এমন দাবি প্রত্যাখান করেছে ইউক্রেনীয়রা। অথচ, প্রায় এক দশক আগে ২০১৩ সালের এক জরিপে ৮৫ শতাংশ ইউক্রেনীয় রাশিয়ার সম্পর্কে ভালো বোধ করেন বলে মত দিয়েছে।
এদিকে, সেভেরোদোনেৎস্কের একটি রাসায়নিক কারখানার নীচে আশ্রয়কেন্দ্রে শিশুসহ প্রায় ৮০০ জনের লুকিয়ে থাকার দাবি করেছেন লুহানস্ক অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান। শহরটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আশ্রয় নেয়াদের শহর ছেড়ে যেতে বলা হলেও তারা সেই প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
তবে, রুশ দখলকৃত দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনে রুশ সেনাবাহিনীর বিপরীতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর। অঞ্চলটির ৫ মাইল এলাকা তারা দখলমুক্ত করেছে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, ইউক্রেন আগ্রাসনের জেরে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে পুতিন সরকারের বেশ কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা রয়েছেন।
রুশ হামলা প্রতিহতে ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য ও সুইডেন। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনকে বর্বরোচিত আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক জার্মান চ্যান্সেলন অ্যাঙ্গেলা মার্কেল।
অন্যদিকে, শস্যবহনকারী জাহাজকে ইউক্রেনের বন্দর ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে মানবিক করিডোর ব্যবহার করে কৃষ্ণ সাগর পাড়ি দিতে পারবে শস্যবাহী জাহাজ। সেক্ষেত্রে এসব জাহাজকে নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছে মস্কো।
[…] রাশিয়া […]