লিটন দাস অধিনায়ক ?

খেলা ডেস্ক,

 

ইদানিং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) একটচা কালচার হয়ে গেছে  হঠাৎ করে কোনো কারণে নিয়মিত অধিনায়ক না খেললে তখন নতুন অধিনায়ক বেছে নিতে বিসিবি বা টিম ম্যানেজমেন্টকে বৈঠকে বসতে হয়। অথচ এখানে যদি সহ-অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হতো তা’হলে এ রকম বৈঠক বা ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজনই পড়তো না। এটি একটি মধুর সমস্যা। এই সমস্যায় পড়েছে এবার বিসিবি। জিম্বাবুয়ে সফরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হঠাৎ করে ইনজুরিতে পড়ে গোটা সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন নুরুল হাসান সোহান।

আগামীকাল সিরিজ নির্ধারনী অলিখিত ফাইনাল ম্যাচ হওয়াতে ম্যাচটির গুরুত্ব দুই দলের জন্যই সমান। এমন একটি ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলে এক সোহানের অনুপস্থিতি দুই রকমের শূন্যতা দেখা দিয়েছে। নেতৃত্বের পাশাপাশি কিপিং কে করবেন।

সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়াতে টি-টোয়েন্টি দলে তারুণ্যের সমাহার। সিনিয়ররা দলে থাকলে সহজেই অধিনায়ক বেছে নেয়া যেতো। এখন না থাকাতে এ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। তরুণদের মাঝে যারা সিনিয়র তাদের মাঝ থেকেই বেছে নেয়া হবে একজনকে। দুইটি নাম ঘুরছে। একটি লিটন দাস, অপরটি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। লিটন দাস দলে নিয়মিত হলেও মোসাদ্দেক নিয়মিত নন। এখন এই দুই জন থেকেই একজন দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন। কার কাঁধে যাবে নেতৃত্বের ঝাণ্ডা, তা ঠিক করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। বিসিবি থেকে কোনো রকমের দিক নির্দেশনা দেয়া হবে না বলে  জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশনসকমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘অধিনায়কের ব্যাপারে আমরা এখান থেকে কোনো কিছু বলে দেবো না। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা ভালো মনে করবে,সেই সিন্ধান্ত নেবে।’

লিটন-মোসাদ্দেক দুই জনেরই অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে। লিটন টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক। পাশাপাশি তিনি ২০২১ সালে নিউ জিল্যান্ড সফরে অকল্যান্ডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহর অনুপস্থিতিতে। সেই ম্যাচে মোসাদ্দেকও খেলেছিলেন। দলে পঞ্চপান্ডব বা আর কোনো সিনিয়র ক্রিকেটার না থাকায় মোসাদ্দেককেই বেছে নেয়া হয়েছিল। ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৬৫ রানে। টস জিতে লিটন বোলিং বেছে নিয়েছিলেন। নিউ জিল্যান্ডের চার উইকেটে ১৪১ রানের জবাবে বাংলাদেশ মাত্র ৯.৩ ওভারে ৭৬ রানে অলআউট হয়েছিল।

জাতীয় দলকে আগেও একবার নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই তারই সম্ভাবনা বেশি।’ তবে লিটনকে অধিনায়কত্ব দেয়া হলেও কিপিং নাও করতে পারেন বলে জানান তিনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘দলে ব্যাটসম্যান বেশি না থাকাতে মুনিম-বিজয় দুই জনেরই বাদ পড়ার সম্ভাবনা কম। যেহেতু ওপেনার হিসেবে ইমন (পারভেজ হোসেন ইমন) আছে, তাকে খেলালে মুনিমই বাদ পড়বে। আর বিজয় আগে ফিল্ডিং ভালো করলেও এখন ভালো করতে পারছে না। তাকেই হয়তো কিপিং গ্লাভস দেওয়া হবে।

 

 

 

 

বেতনা নিউজ ২৪ /খে/ডে/

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version