কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবর রহমান জানান, জেলায় ১ হাজার ৭০৪ হেক্টর বোরো জমি, ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর আউশ বীজতলা ও ১ হাজার ৫৩৮ হেক্টর সবজিখেত নিমজ্জিত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীর জানান, সিলেটে তাঁদের আওতাধীন ১২০টি রাস্তার ২৭৭ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তাঁদের আওতাধীন ৭২ কিলোমিটার রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। এর বাইরে আরও ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৭৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ কৃষি বিভাগের হিসাবমতে, বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ধানের মূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা। তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, পাকা ধান তলিয়েছে। এর মধ্যে দ্রুত পানি সরে যাওয়ায় কিছু জমির ধান কৃষকেরা কেটেছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবারের বন্যায় ১ হাজার ৩১০টি পুকুরের মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। এসব পুকুরে ১৬৮ মেট্রিক টন মাছ ও ৫০ মেট্রিক টন পোনা ছিল। জেলার ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় ক্ষতি হয়েছে বেশি। ছাতকে ৭৫০টি ও দোয়ারাবাজারে ৪৩৫টি পুকুরের মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারির সংখ্যা ১ হাজার ১৪৭।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেছেন, ‘আমাদের প্রায় ৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনো পূর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পাওয়া যায়নি।’
ভারী বৃষ্টি হয়নি। উজান থেকেও ঢল কম নেমেছে। তাই নদী ও হাওরে পানি কমছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পানি নামছে। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে গেছেন।
বেতনা নিউজ ২৪/নি/প্র
Leave a Reply