এর আগে আদালত মন্তব্য করেন, পি কে হালদারের বিষয়ে এমন আদেশ দেয়া হবে যাতে পৃথিবীর কোন দেশেই সে শান্তিতে থাকতে না পারে। পরে তাকে দেশে ফেরাতে রুল শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত।
সোমবার হাইকোর্ট মন্তব্য করেন, অর্থপাচার গুরুতর অপরাধ, রাঘব বোয়াল যেই হোক এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দুর্নীতি ও অর্থপাচারে জিরো টলারেন্স থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিংসহ চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নামে-বেনামে বিভিন্নভাবে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করে দেশ থেকে পালিয়ে পরিচয় গোপন করে পি কে হালদার নতুন নাম নেন শিবশঙ্কর হালদার।
গত শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিরাপত্তার কারণে রাতেই সিবিআই স্পেশাল কোর্টে অনলাইনে রিমান্ড আবেদন করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এনফোরসমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে নেয়া হলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। গ্রেপ্তার অন্য পাঁচজন হলেন, উত্তম মিত্র, স্বপন মিত্র, সঞ্জীব হালদার, প্রাণেশ হালদার ও তার স্ত্রী।
ইডি ভারতে পি কে হালদারের বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান তার সহযোগী সুকুমার মৃধার কাছে পায়। চলতি সপ্তাহে ইডির পাশাপাশি এই মামলায় যোগ দিতে পারে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং এসএসআই।
Leave a Reply