অনলাইন ডেস্ক,

চলতি বছর ২০২২ আগস্টে সারা দেশে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৫৮টি। রেল, জল ও স্থল পথের এসব দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছেন ১৪৮০ জন।

অর্থাৎ, নিহত হয়েছেন ৫১৯ জন; আহতের সংখ্যা ৯৬১। নিহতের মধ্যে নারী ৬৪, শিশু ৬৯ জন। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং  গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশে মোট ১৮৩ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৭২ জন। যা মোট নিহতের ৩৩ দশমিক ১৪ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২১ শতাংশ।

যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৪ জন, অর্থাৎ ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ। একই সময়ে ১১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত এবং ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। ২৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৭৩৩ টি।

এরই মধ্যে ট্রাক ১২২, বাস ১০৮, কাভার্ডভ্যান ২৩, পিক আপ ২৮, প্রিজন ভ্যান ১, ট্রলি ৮, লরি ১৪, ট্রাক্টর ৪, মাইক্রোবাস ৭, প্রাইভেটকার ২১, অ্যাম্বুলেন্স ৫, জিপ ৫, মোটরসাইকেল ১৯৪, থ্রি-হুইলার ১৩১ (ইজিবাইক/সিএনজি/ অটোরিকশা/অটোভ্যান/লেগুনা/হিউম্যান হলার), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৩৯ টি(নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দা-ইট ভাঙ্গার মেশিন গাড়ি) বাইসাইকেল ১২টি, প্যাডেল রিকশা ৩টি এবং প্যাডেল ভ্যান ৮টি।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে-
ঢাকা বিভাগের দুর্ঘটনা ২৭ দশমিক ৭২ শতাংশ; প্রাণহানি ২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগের দুর্ঘটনা ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, প্রাণহানি ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগের দুর্ঘটনা ২১ দশমিক ৬১ শতাংশ , প্রাণহানি ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। খুলনা বিভাগের দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ০৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। বরিশাল বিভাগের দুর্ঘটনা ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, প্রাণহানি ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সিলেট বিভাগের দুর্ঘটনা ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৪ দশমিক ০৪ শতাংশ। রংপুর বিভাগের দুর্ঘটনা ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ দূর্ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১২৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪২ জন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১ জন।

একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৩২ দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে মাগুরা, ঝালকাঠি ও সুনামগঞ্জ জেলায়। এই ৩টি জেলায় সাতটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

এর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় গত জুলাই মাসে ৭৩৯ জন নিহত হয়েছিল। এ হিসাবে আগস্টে প্রাণহানি কমেছে ২৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে প্রাণহানি হ্রাসের এই মাত্রা কোনো টেকসই উন্নতির সূচক নির্দেশ করছে না। গত মাসে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৪ জন, অর্থাৎ ১৭ জন।

বেতনা নিউজ ২৪ /অ/ডে/