নিউজ ডেস্ক,
রোববার (২১ আগস্ট ) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে পাবনা জেলা যুবলীগের বিক্ষোভ সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংর্ঘের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিক্ষোভ মিছিল হলেও পন্ড হয়ে গেছে প্রতিবাদ সমাবেশ।
রোববার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যার সময় শহরের আব্দুল হামিদ রোডে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- যুবলীগের সাবেক নেতা রনি (৩০), যুবলীগ কর্মী ঘানা (২৫), মানিক (২৬), রাফিন(২৪) এবং তমাল(২২)। রনিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয় হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও গ্রুপিং এর কারণে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। প্রতিবাদ সমাবেশ শুরুর প্রাক্কালে হঠাৎ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলীয় নেতাকর্মীরা। যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিকের গ্রুপের রনির সাথে যুবলীগ নেতা বাপ্পী ও লগবাবুর মধ্যে হাতহাতি শুরু হয়। বেশ কিছু সংখ্যক কর্মী পরস্পরকে কিল- ঘুষি, লাথি মারতে শুরু করেন। এক পর্যয়ে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। সিনিয়র নেতারা চেষ্টা করেও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারেননি। পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি প্রতিবাদ সমাবেশ খুব দ্রুত সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
পাবনা পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান মিন্টু বলেন, ২১ আগস্ট উপলক্ষে জেলা যুবলীগের ব্যানারে একটি প্রোগ্রাম ছিল, সেখানে যুবলীগেরই কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এটা নিজেদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টি তার জানা নেই। বিশাল সমাবেশ ছিল। হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মাঝে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতেই পারে।
এ বিষয়ে পাবনার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, সমাবেশে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে । পরে বিষয়টি উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতেই মীমাংসা হয়। এনিয়ে কেউ কোন অভিযোগ দেননি।
বেতনা নিউজ ২৪ /নি/ডে/