বরিশালে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে জিপিও ভবন

বেতনা নিউজ ২৪ ডেস্ক,

 

বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে জনাজীর্ণ ডাকঘরকে ডিজিটালাইজ করতে বরিশালে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে জিপিও ভবন। এরইমধ্যে পোস্ট অফিস ভবন সংস্কার ও নবনির্মিত জিপিও ভবন প্রকল্পের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ সম্পন্ন।

বরিশাল ডাকঘর বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এ জিপিও ভবন নির্মণ হাতে নেয়া হলেও পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি করে প্রকল্প ব্যয় নির্ধারিত হয় প্রায় ১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

 

 

জানা গেছে, একইসাথে ডাকঘর ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করার পাশাপাশি বিভাগের কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ চলছে। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডে ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হবে। বর্তমান সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এ অর্থ প্রদান করা হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় ডাক অধিদফতর।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো বলছে, জিপিও ভবন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ডাকঘর বিভাগ থেকে পার্সেল ও লজিস্টিক গ্রহণ সর্টিং ও বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় স্পেস এবং অর্থ মজুদের ভল্ট রুমসহ উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদানসহ উপযোগী সকল অবকাঠামোগত সুবিধা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে বরিশাল ডাকঘর বিভাগের পোস্ট মাস্টার (অতি:) মো. জয়নাল আবেদিন খান বলেন, হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডাকঘরের বিকল্প নেই। মহামারী করোনাকালে জরুরী সেবার আওতায় ডাকঘর একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি। ফলে কৃষকের ফল এবং সবজি পরিবহন থেকে শুরু করে সকল প্রকার চিকিৎসা সরঞ্জামাদি পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তৃণমূল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আস্থা এবং ভরসার প্রতিষ্ঠান এ ডাকঘর। বর্তমান সরকার এ ডাকঘরকে আরো আধুনিক ও যুগউপযোগী করতে কাজ করে যাচ্ছে।

পোস্টমাস্টার আরো জানান, ডাকঘরকে ডিজিটালাইজেশনের জন্য সম্প্রতি প্রণীত ‘ডিজিটাল সার্ভিস ল্যাব’র পরামর্শগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে ডাক সেবার মান পরিবর্তন আসবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেতারের জেলা সংবাদদাতা নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটালাইজেশনের জন্য বর্তমান সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ‘ডিজিটাল সার্ভিস ল্যাব’র পরামর্শগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে ডাকঘর বিভাগে আমুল পরিবর্তন ঘটবে। আশা করি আগামী দিনগুলোতে ডাকঘর বিভাগে ফিরে পাবে তার স্বরূপ ও গতি। একইসাথে নিয়ে আসবে প্রচলিত আধুনিক প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা।

এ প্রসঙ্গে স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ দেশে গড়ে উঠেছে ডাক ব্যবস্থা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত এ ডাক বিভাগের পরিধি। প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো এ ডাক বিভাগ আধুনিক প্রযুক্তি বা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে অগ্রসর হতে পারেনি। মহান স্বাধীনতার পর ডাকঘর প্রতিষ্ঠিত হলেও নানা কারণে বা জটিলতায় আধুনিকায়ন করা সম্ভব হয়নি। সময় এসেছে ডাকঘর বিভাগের ঘুরে দাঁড়াবার।

সূত্র-বাসস

 

 

 

 

 

বেতনা নিউজ ২৪ /বে/ডে/

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version