অনলাইন ডেস্ক,
কয়েক বছর ধরে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ, যা এ দেশের নেতৃত্বের অবদান বলা যেতে পারে। পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমন কথা বলা হয়েছে।
নিবন্ধে বলা হয়, পাকিস্তানের নেতৃত্ব বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। তবে প্রধান বিষয় হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন যা প্রতিরক্ষা ও গণতন্ত্র উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
‘‘টেকওয়েস ফ্রম বাংলাদেশ’স লিডারশিপ’’ শিরোনামের নিবন্ধে বলা হয়, ১৯৯২ সালের প্রথম দিকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিষয় ও পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি রাজনৈতিক প্রভাবের সঙ্গে অর্থনৈতিক নীতির ভারসাম্যের কাজটি গ্রহণ করেছিলেন।
শেখ হাসিনা এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন যাদের অর্থনৈতিক সাফল্য চারটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক উন্নয়ন, রপ্তানিমুখী প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বাণিজ্য উদারীকরণ ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ।
আর এতে প্রমাণিত হয় শেখ হাসিনা অন্যান্য বিষয়, যে সবের প্রতি রাজনীতিকরা আকৃষ্ট হয়, থেকে অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিয়েছেন; রিয়াজ নূর তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেছেন, ১৯৭১ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশে জবাবদিহিমূলক প্রচারণা ও সামরিক শাসনে প্রতিবন্ধকতা থাকলেও ২০০৯ সাল থেকে সেনাবাহিনী পেছনের আসন নেয়।
প্রবন্ধে বলা হয়, শাসনের সামান্য অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী তীক্ষ্ণতা ও প্রত্যয় ছিল অর্থনৈতিক অগ্রগতিই দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের একমাত্র উপায়।
নিবন্ধ অনুযায়ী, ১৯৭০ সালে দেশে ১০ মিলিয়ন বেশি মানুষ ছিল। তবে বর্তমানে পাকিস্তানের ২৩০ মিলিয়নের তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭০ মিলিয়ন।
২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যেখানে পাকিস্তানের রপ্তানি আয় ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাকিস্তানে মাথাপিছু আয় ১,৫৪৩ ডলারের তুলনায় বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ২,২২৭ ডলার।
২০২২ সালে পাকিস্তানের ৩৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৬% এবং পাকিস্তানে যা ১২-১৫% থেকে বেড়ে ২১% এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে তা আরও বাড়তে পারে।
এছাড়া পাকিস্তানি রুপির তুলনায় বাংলাদেশি টাকা অনেক শক্তিশালী।
এতে বলা হয়, উল্লেখযোগ্যভাবে অর্থনীতিতে নারীর উচ্চ অংশগ্রহণসহ বাংলাদেশে ভালো স্বাক্ষরতার হার রয়েছে।
নিবন্ধ অনুযায়ী, পাকিস্তানে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যক্তিগত লাভের প্রতি আগ্রহী। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বারবার কারসাজি শক্তিশালী, গণতান্ত্রিক ও অ-বংশবাদী দলগুলোর প্রসারকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন, শক্তিশালী বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত বলেও লেখায় উল্লেখ করা হয়।
বেতনা নিউজ ২৪ /অ/ডে/