অনলাইন ডেস্ক,
খলিফা মাহদির সঙ্গে যোগসূত্র : পৃথিবীতে যখন খলিফা মাহদির আত্মপ্রকাশ ঘটবে, তখন শাম থেকে নামধারী মুসলমানদের একটি দল তাঁকে হত্যা করতে মক্কার দিকে রওনা করবে। কিন্তু আল্লাহর গজবের মাধ্যমে মক্কা-মদিনার মাঝামাঝি ‘বাইদা’ নামক স্থানে তাদের ধসিয়ে দেওয়া হবে। অতঃপর এ সংবাদ শুনে শামের শ্রেষ্ঠ মুসলমানরা এসে খলিফা মাহদির হাতে বায়াত গ্রহণ করবেন। তখন থেকে ঈসা (আ.)-এর আগমন পর্যন্ত তিনিই হবেন সেনাপ্রধান। এরপর ঈসা (আ.)-এর আগমন হলে তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেবেন এবং দাজ্জালকে শামে হত্যা করবেন। তখন খলিফা মাহদি হবেন সে সৈন্যদলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সেনা সদস্য। (আল মানারুল মুনিফ : ১৪৭)
দাজ্জালকে হত্যা : কিয়ামতের আগে কানা দাজ্জাল যখন পৃথিবীব্যাপী গোলযোগ সৃষ্টি করবে এবং ফিতনা ছড়িয়ে দেবে, তখন ঈসা (আ.) দামেস্কে অবতরণ করবেন এবং দাজ্জালকে খুঁজতে থাকবেন। শেষতক শামের লুদ নামক স্থানে তাকে খুঁজে বের করে হত্যা করবেন। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইরাক ও শামের মধ্যবর্তী অঞ্চল থেকে দাজ্জাল বের হয়ে পৃথিবীব্যাপী গোলযোগ সৃষ্টি করবে। হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা তখন নিজেদের ঈমানের ওপর অটল থাকবে।’ এরপর হাদিসের শেষদিকে তিনি বলেন, ‘অতঃপর আল্লাহ তাআলা মারিয়াম তনয় ঈসা (আ.)-কে দুনিয়ায় পাঠাবেন। তিনি দুজন ফেরেশতার কাঁধে ভর করে দামেস্কের পূর্ববর্তী অঞ্চলের শুভ্র মিনারের কাছে অবতরণ করবেন। তখন তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস যেসব কাফিরের গায়ে লাগবে, তারা মারা যাবে। এবং দৃষ্টিসীমার শেষ প্রান্তে গিয়ে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস পড়বে। তিনি দাজ্জালকে খুঁজতে থাকবেন এবং শামের বাবে লুদ নামক স্থানে তাকে হত্যা করবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৯৩৭)
চলবে...
বেতনা নিউজ ২৪ /অ/ডে/
মন্তব্য করুন